18 Nov 2020

ই-কমার্স কল্পনা আর বাস্তবতা! ক্লাশ-১

আমরা যা কল্পনা করি বাস্তবতায় সেটার প্রাপ্তি অনেক কঠিন। বাস্তব কারণ এটাই হলো বাস্তব যে মূল বাস্তবিক জগতে সব কিছুই নিজের মতন করে গড়ে উঠেনা, পাওয়াও যায় না। বাস্তবতা অনেক কঠিন, ইট পাথর কিংবা নাইট্রোস অক্সাইড বা হাইড্রোমনো অক্সাইড এর চাইতেও অনেক কঠিন। এভারেষ্টের চূড়ায় ওঠার চাইতেও কঠিন। কল্পনায় সব কিছু নিজের মতন করে সাজিয়ে নেয়া যায়। চাইলে কল্পনা থেকে অনেক কিছুই বাদ দেয়া যায় জোড়া লাগানো যায়। বাস্তবে এরকম কখনো হয় না। যখন বাস্তবতা সামনে আসে তখন আমরা থমকে যাই, হতবাক হয়ে যাই। তখন পৃথিবী টা একদম অন্য রকম লাগে, যেন কি ভাবলাম সারা জীবন আর কি পেলাম । এর মাঝেই আমাদের বেচে থাকার লড়াই করে বেচে থাকতে হয়, নিজেকে গড়তে হয়।
ছোট বেলায় স্কুলে আমাদের “এইম ইন লাইফ” নামক একটা রচনা পড়ানো হতো। সেখানে অনেকই ডাক্তার কিংবা ইন্জিনিয়ার হতে চেয়েছি। আসলে আদৌ কজন এরকম ডাক্তার কিংবা ইন্জিনিয়ার হতে পেরেছি। সত্য কথা হলো কল্পনাটা ফিকে পরে যায় বাস্তবতার গ্যারাকলে। কিন্তু মানুষ স্বপ্নের ভেলা না ভাসিয়ে বাঁচতে পারে না। মানুষ স্বপ্ন দেখে আশা করে বেচে থাকার, নতুন এক ভবিষ্যতের জন্য।
সময়টা ডিজিটাল যুগের। সময়ের প্রেক্ষাপটে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে না পারলে ব্যর্থতা নিশ্চিত। পৃথিবীতে অনেক নামী দামী প্রডাক্টসহ অনেক কোম্পানী সময়ের সাথে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে দেরি করায় মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে।
‘ইকমার্স বিষয়টা কি, এটার সাথে রিলেটেড কি কি বিষয় আছে, চ্যালেঞ্জ কি কি হতে পারে এই ব্যাসিক বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা করব’। ই স্কলার বিজনেজ এর উদ্যোক্তা জনাব সাঈদ রহমান এভাবেই শুরু করেন ‘ই-কমার্স ট্রেনিং এন্ড মেন্টরিং’ বিষয়ক অনলাইন ক্লাশের প্রথম দিন ১৫ নভেম্বর, রবিবার, ২০২০ ইং সন্ধ্যার আয়োজনে।
তিনি বলেন পরবর্তী ক্লাশে আমরা আলোচনা করব ই-কমার্স টেকনোলজি নিয়ে। যেহেতু ইকমার্স বিজনেজ টা টেকনোলজির উপর নির্ভরশীল সেই কারণে আমরা পরবর্তী ক্লাশে চলে যাব ডমেইন, হোস্টিং, ওয়েব সাইট, ওয়েব সিকিউরিটির আলোচনা নিয়ে। আজকে আমরা আলোচনা করব ই-কমার্স বেসিক বিষয় নিয়ে। তিনি পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড নিয়ে আলোচনা শুরু করেন জুম এ্যাপ এর অনলাইন মিটিং আইডি দিয়ে স্ক্রিন শেয়ার এর মাধ্যমে।
ই-কমার্স ধাপ-১
শুরুতেই একজন প্রশ্ন করেন ক্লাশের রেকর্ডিং পাওয়া যাবে কিনা উত্তরে জনাব সাঈদ রহমান বলেন গত কাল ওরিয়েন্টেশন ক্লাশে বলেছিলাম টেকনিক্যাল কারণেই ক্লাশের রেকর্ডিং ভিডিও দিব না তবে কেউ যদি বুজতে না পারেন তার জন্য গুছালো একটা ভিডিও লিংক দেয়া হবে একটা আইডি পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে যারা ক্লাশে রেগুলার উপস্থিত থাকবেন সেটা তারাই পাবেন। তাছাড়া ই-কমার্স ট্রেনিং এন্ড মেন্টরিং এর উপর একটা মেনুয়াল এবং প্রাকটিক্যাল বুক থাকবে যেটা থেকে ই-কমার্স কি এই বিষয়গুলোর প্র্যাকটিস করতে পারবেন।
ক্লাশের বিষয়গুলো বুজতে যাতে মনোযোগী হয় এবং সুবিধার জন্য যাতে সবাই নোট করে নেয় এজন্য আমরা ইচ্ছা করেই রেকডিং আর স্লাইড দিচ্ছি না। আজকের ক্লাশে যা শিখবেন নিজের হাতে লিখে আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। কন্টেন্ট লেখার সময় যদি কোন কিছু ভুলে যান তাহলে সেটা নোট আকারে লিখে রাখেবেন যাতে পরবর্তীতে সেটা ধরে উত্তর দিতে পারি। ক্লাশের বিষয়গুলো নিয়মিত কন্টেন্ট আকারে না লিখলে সব বিষয়গুলো বুজতে ও জানতে সমস্যা হবে বলে তিনি জানান। সবাইকে নিয়মগুলো মেনে ক্লাশে এটেন্ড করতে হবে। প্রথম দুইমাস ক্লাশ হবে শেষের একমাস মেন্টরিং হবে। শেষের মেন্টরিং এ যার যার ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা শেয়ার করব যার যার ব্যবসায়িক অবস্থান থেকে। তাঁর ক্লাশ পরিচালনার সময় অনলাইনে ২৯ জন রেজিস্ট্রার্ড ডেলিগেট এ্যাক্টিভ ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান একটি রেজিস্ট্রেশন লিংকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করলে রেজিস্ট্রারকে দেয়া একটি ই-মেইল রিসপন্সের মাধ্যমে সিলেকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আমাদের এই ই-কমার্স বিষয়ক কম্প্লিমেন্টারী প্রশিক্ষণ ও মেন্টরিং প্রক্রিয়া ধারাবাহিক ভাবে চলবে কিছুদিনের মধ্যে আবার শুরু হবে তৃতীয় ব্যাচ।
প্রথমেই জানা দরকার ই-কমার্স বিষয়টা কি?
১. ট্র্যাডিশনাল ব্যবসা: যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মুনাফা অথবা লাভের উদ্যেশ্যে যে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে সেটাই ট্র্যাডিশনাল ব্যবসা।
২. ই-বিজনেজ: ট্র্যাডিশনাল ব্যবসা যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হবে সেটা হবে ই-বিজনেজ, যেটা সামগ্রিক ব্যবসা হিসেবে বিবেচিত, এটা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। প্রাথমিক ভাবে পণ্যের ছবি তুলে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এটা শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটা অনলাইনের আরো অনেক মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে।
৩. ই-কমার্স: ই-বিজনেজ যখন অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে পণ্যের মূল্য পরিশোধ অথবা ডেলিভারি করে অর্থ লেনদেন করা হবে তখনে সেটা হবে ই-কমার্স। সকল ই-কমার্সই ই-বিজনেজ তবে সকল ই-বিজনেজ ই-কমার্স না।
ই-কমার্স ব্যবাসায় প্রবেশের মানুষিক প্রস্তুতি
চলুন দেখে নেয়া যাক কয়েকটি প্রশ্ন যার মাধ্যমে বুঝা যাবে আপনি আসলেই ই-কমার্স ব্যবসায়ী হতে পারবেন কি না। এই কারণগুলো মৌলিক কারণ। এই বিষয়গুলো আকার আর প্রয়োজন ভেদে বেশিও হতে পারে, ভিন্ন রকমও হতে পারে। ই-কমার্স ব্যবসাটা এমন না যে আজকে নামলে কালকেই টাকা পয়সা চলে আসতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং, এফেলিয়েট মার্কেটিং ও ই-

ই-কমার্স ট্রেইনিং ও মেন্টরিং

ই-কমার্স ট্রেইনিং ও মেন্টরিং

কমার্স এ বিষয়গুলো নিয়ে যারা কাজ করেন তারা ভাল বলতে পারবেন যে এই বিষয়গুলো মেধা আর সাধনার ফল। মূল বিষয় হচ্ছে প্রডাক্ট নির্ধারণ আর সে বিষয়ে আর্টিকেল লেখা আর সেটাকে মার্কেটিং ও ক্যাম্পিং পরিকল্পনা অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজে লাগানো।

এই ব্যবসাটা যেহেতু শুধু লোকাল ব্যবসা না সে কারণে ব্যবসা প্রসারের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচার ও সম্প্রচার করার জন্য চিন্তা ভাবনা করতে হবে। এখানে যেমন ব্যর্থতার রেকর্ড আছে তেমনি সফলতার গল্পও আছে। একটা ব্যবসায় লেগে থাকলে অবশ্যই ভাল ফলাফল আসবে, কিছুদিন করে বাদ দেয়া যাবে না। অথবা কিছুদিন করার পর কিছু টাকা পয়সা হয়ে গেলে অন্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে সে ক্ষেত্রে ফলাফল আশানুরূপ পাওয়া যাবে না। মনের এই দৌড়াদৌরি ও অস্থিরতা বাদ দিতে হবে, এটা ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। নিজের ব্যবসার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে ও অফিসিয়াল নিয়ম মানতে হবে।
বিষয়টা যাতে এমন না হয়, চাকরির জন্য ঘুম থেকে উঠে সকাল সাতটায়, কারণ নয়টায় অফিসে গিয়ে আবার পাঁচটা ছয়টা পর্যন্ত টানা সাত আট ঘন্টা অন্যের অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরতে হবে। নিজের অফিস হলে ঘুম থেকে বারটায় উঠে যত দেরিতে হোক অফিসে গেলে তেমন কোন জবাবদিহিতা নাই, বিষয়টা যেন এমন না হয়। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে অন্যের প্রতিষ্ঠানের জন্য যদি আট ঘন্টা পরিশ্রম করেন তাহলে নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য ষোল ঘন্টা পরিশ্রম করবেন না কেন? অনেকেই চকরীর পাশাপাশি স্বপ্ন দেখেন উদ্যোক্তা হবো, এ জন্য একটা ফেসবুক পেজ বানাবো বুস্ট করব রাতারাতি ইনকাম করব বিষয়টা এত সহজ না, বরং ব্যবসার আরো বারটা বাজবে, মুলধন পুঁজি সব হারিয়ে যাবে। লেগে থাকার মনমানষিকতা, ধৈর্য আছে কি না সেটা আগে চিন্তা করতে হবে।
নিজেদের ব্যবসা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমরা যতটা আগ্রহী থাকি তার চেয়ে বেশি অগ্রহী থাকী বন্ধু বান্ধবের সাথে সময় দিয়ে আড্ডাবাজিতে। আড্ডাবাজি করা যাবে তবে সেটা প্রডাক্টিভ ও নিজেদের ব্যবসায়িক আউটকাম নিয়ে পরিকল্পনা করে যাতে সময়গুলো মুনাফা অর্জনের জন্য কাজে লাগে। শুধু কঠিন পরিশ্রম করলেই হবে না স্মার্ট ওয়ার্কিং করতে হবে। দেখিতো কিছু হয় কিনা? এভাবে চিন্তা করা যাবে না। ব্যবসার পাশাপাশি টুকটাক চাকরি করা যাবে কিন্তু টুকটাক ব্যবসার পাশাপাশি চাকরি করা যাবে না, মানে ব্যবসার গুরুত্বটা আগে দিতে হবে। যে সময় আমাদের পরিশ্রম করার সময় সে সময় কাটিয়ে দেই ভোগ বিলাসে আর যে সময় ভোগ বিলাস করার কথা সে সময় লেগে যাই পরিশ্রমে এই ভূলটা করা যাবে না। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। যারা ভুল করেছেন তাদের দেখে শিখতে হবে, ভুলের কথা শিখার করে সম্ভাবনাময় যারা তাদের সতর্ক করতে হবে। যদি কোন মেন্টর পথ দেখায় তাহলে সেটা মেনে নিয়ে সময়কে সৎ ব্যবহার করতে হবে। কাজকে ভালবাসতে হবে মন থেকে সত্যি প্রেম ভালবাসার মন নিয়ে।
নীচের পাঁচটা প্রশ্ন ভাবতে হবে শুরু করার আগে
১. আপনি কি শেষ পর্যন্ত লেগে থাকবেন?
২. আপনি প্রেসার নিতে পারবেন কি না?
৩.আপনি কি একজন সার্ভাইবার?
৪. সর্বদা কঠিন পরিশ্রমের জন্য প্রস্তুত থাকতে পাবেন তো?
৫. আপনি যা শুরু করছেন বা শুরু করতে যাচ্ছেন তা সত্যি আপনি ভালবাসেন তো?
উপরোক্ত পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যা হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তী আরো এগারটা বিষয় নিয়ে মানষিক প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্যবসা শুরুর আগে কিছু হোমওয়ার্ক করতে হবে। ব্যবসার প্রডাক্ট, সার্ভিস, অথবা টেকনোলজি যেটাই হোক সেটার উইন ফেক্টর খুঁজে বের করতে হবে। নিজস্ব ভিশন এবং স্বকীয়তার মাধ্যমে শুরু করতে হবে যা স্বতন্ত্র, কারো কন্টেন্ট অথবা ব্যবসায়ের প্রডাক্ট কপি করে করা যাবে না। ই-কমার্স ব্যবসায়ের কম্পিটিটর থাকবে একই ধরনের ব্যবসা একধিক উদ্যোক্তা করতে পারে সে ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম যদি না হয় এবং উন্নত ও সুবিধাজনক বিষয়বস্তু যদি সার্ভিস অথবা প্রোডাক্টের মধ্যে না থাকে তাহলে মুনাফা অর্জন করা ও ভোক্তাগণের ভাল রিভিউ পাওয়া এবং ব্যবসায়ের গতি বৃদ্ধি করা কঠিন হয়ে যাবে। বিষয়গুলো চিন্তা করে ব্যবসায়ের ‘কি কোয়ালিটি’ নির্ধারন করে এগিয়ে যেতে হবে।
সেটা সম্ভব না হলে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে গিয়ে বকা খেলেও সেটা আশির্বাদ হিসেবে ধরে নিয়ে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে কাজ শুরু করতে হবে কারণ ব্যবসা হচ্ছে প্র্যাকটিক্যাল ওরিয়েন্টেড। অধিকাংশ উদ্যোক্তা যারা হিসাব না বুঝে ব্যবসা শুরু করেন এবং সেখান থেকে ইচ্ছা অনুযায়ী হিসাব ছাড়া টাকা খরচ করেন এটা করার অধিকার একজন ব্যবসায়ীর নাই। একটা ব্যবসায়ের সকল খরচ বাদ দিয়ে নিট প্রফিট হিসাব করে বের করেতে হবে সেখান থেকে নিজের সেলারী হিসাব করে খরচ করতে হবে। নিজেকে ব্যবসায়ী ভাবলে আজই উইন ফেক্টর সহ ভিশন লিখে রাখতে হবে। প্রতি চারমাস অন্তর অন্তর ব্যবসায়ের অবস্থান কোথায় নিয়ে যেতে চান সেটার বাস্তব কাজগুলো গুছিয়ে করতে হবে সে অনুযায়ী মার্কেটিং প্লান করতে হবে এবং সেলস্ জেনারেট করতে হবে।

ই-কমার্স ট্রেইনিং ও মেন্টরিং

ই-কমার্স ট্রেইনিং ও মেন্টরিং

এগুলো না করলে ব্যবসায়ের প্রতি আপনার মায়া আসবে না ভালোবাসাও জন্ম নিবে না। নিজের আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সম্পর্কের খাতিরে নিজের ব্যবসায়ের পণ্য উপহার হিসেবে কাউকে দেয়া ঠিক হবে না। প্রডাক্ট ক্রয়ের ক্ষেত্রেও তোষামোদী মূলক বাক্যে প্রভাবিত হয়ে লো কোয়ালিটির প্রডাক্ট ক্রয় করা যাবে না। দশটা প্রডাক্ট নিয়ে আটটা বিক্রি করা যাবে না, সবগুলো বিক্রি করে সম্পূর্ন মূনাফা অর্জন করার চিন্তা করতে হবে। পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সকল প্রকার খরচ যোগ করে লিখে রাখতে হবে। প্রফিটের উদ্যেশ্যে সঠিক কথা বলতে হবে। একজন তিন ডলারের বুষ্ট করলে আমি দশ ডলারের বুষ্ট করব ব্যবসায়ের ধরণ এমন না এটা সঠিক পদ্ধতি না।
কারো পরামর্শে ব্যবাসায়ের লোকসান হয় হয় এমন কোন অর্থ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না, এ ক্ষেত্রে লোভনীয় অফার অসলে ফলাফল চিন্তা করে বিনিয়োগের ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ১০০ টাকার নীচে ফেসবুকের বুস্টিং করতে চাইলে করা ঠিক হবে না, করলে সমস্যা হতে পারে। টার্গেট সেট করতে হবে যাতে সঠিক সেলসটা জেনারেট হয়। ব্যবসায়ের টার্গেটগুলো দেখা যায় এমন কোন জায়গায় লিখে রাখতে হবে বিষয়টা ফানি হলেও লিখে রাখতে হবে। আপনি কি সাধারণ বিজনেজ ম্যান হতে চান নাকি অনুকরনীয় বিজনেজ ম্যাগনেট হতে চান নির্ধারণ করতে হবে।
ব্যবসায়ের একটা চলমান প্রডাক্ট যদি কোন ক্ষেত্রে সাপ্লাই দিতে সময় ক্ষেপন হয় ডেলিভারি দিতে যদি বিলম্ব হয় কাস্টমার ধরে রাখার জন্য রিলেটেড প্রডাক্ট সোর্সিং বের করতে হবে যাতে ব্যবসায়ের গ্যাপিং তৈরী না হয়।
ব্যবসার জন্য নিম্নের ১১টা বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে
১. খুঁজে নিন আপনার ব্যবসার উইন ফেক্টর
২. একটি বিজনেজ ভিশন তৈরী করুন, যাতে আপনার স্বকীয়তা ফুটে উঠে
৩. আপনার ব্যবসার কি কোয়ালিটি গুলো ঠিক করুন
৪. আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন এবং পারফরমেন্স বৃদ্ধি করুন
৫. সঠিক কথা বলার জ্ন্য তৈরী থাকুন
৬. একটি ফলদায়ক প্রবলেম সলভ করার মতো মন মানষিকতা তৈরী করুন
৭. এমন একটা টার্গেট সেট করুন যা আপনাকে মটিভেট করে
৮. আপনার সেট করা গোল বা টার্গেট লিখে রাখুন
৯. আপনার প্লানটিকে এবার একটিভ করুন
১০. প্লানটিকে ডেভেলপ করুন
১১. প্লানে টিকে থাকুন
ই-কমার্স ব্যবসায় লিডারশিপ গুণসমূহ
কমিউনিকেশন স্কিল যার যত স্ট্রং তার ব্যবসা তত দ্রুত গ্রো হবে। কোন প্রডাক্ট ক্রয় করে বিক্রি করতে না পারলে পাওনাদার টাকার জন্য বার বার ফোন দিলে রিসপন্স না করা এটা যোগাযোগের বড় অদক্ষতা, যা একবারের বেশি করা যাবে না। ডাটা অনুযায়ী কোন ব্যবসায়ের ২৭% কাস্টমার যদি পুণঃরায় আপনার পণ্য ক্রয় না করে তাহলে সে ব্যবসায় লাভ হবে না খরচই হতে থাকবে। ব্যবসা শুরু করলেই ব্যবসায়ী হওয়া যাবে না। ব্যবসায়ের কার্যক্রম এর জন্য টিম পরিচালনা করতে নিজের মধ্যে লিডারশিপের যোগ্যতা তেরী করতে হবে। যার যার অবস্থান অনুযায়ী নিজের অফিসে কাজের একটি ভালো পরিবেশ তৈরী করতে হবে। বস হিসেবে নয় নিজেকে টিম মেম্বার হিসেবে উপস্থাপন করাই বেশি যুক্তিযু্ক্ত হবে। ব্যবসায়ের সকল প্রকার সাফল্য সবাই মিলে ভাগাভাগি করে নিতে হবে। ‘আমার’ শব্দটা ব্যবহার না করে ‘আমাদের’ শব্দটি ব্যবহার করা কাজের উৎসাহ ও ব্যবসার সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। সবাই যাতে প্রতিষ্ঠানটি নিজের মনে করে কাজ করে সে বিষয়টার প্রতি সর্বোপরি গুরুত্ব দিতে হবে।
পয়েন্ট আকারে ৬টি বিষয় লিখে রাখা প্রয়োজনীয়
১. যোগাযোগ দক্ষতা
২. দূরদৃষ্টি
৩. সাপোর্টিভ
৪. আত্মবিশ্বাস
৫. সাফল্যকে ভাগ করে নেয়া
৬. সব সময় এমন একটি পরিবেশ তৈরী করা যা ব্যবসার উন্নতিতে কাজে লাগে।
Share this

© 2014 Rupsha Graphics. All rights reserved.